User:Sazzad.Suhan

From Wikimedia Commons, the free media repository
Jump to navigation Jump to search

কাঠশালিক

[edit]

শালিক আমাদের অতি পরিচিত পাখি। আমাদের দেশে ৬ প্রজাতির শালিক নজরে পড়ে। যথাক্রমে, ভাত শালিক, গোবরে শালিক, কাঠ শালিক, বামন শালিক, ঝুঁটি শালিক ও গাং শালিক। প্রতিটি প্রজাতির শালিকই দেখতে বেশ সুন্দর। সবকটি প্রজাতিই মোটামুটি মানুষের আশেপাশে থাকে। কিন্তু কাঠ শালিকের ভেতর মানুষকে এড়িয়ে চলার প্রবণতা দেখা যায় বেশি। যার ফলে পরিচিত এ পাখি সর্বসাধারণের কাছে একটু অপরিচিত। কাঠ শালিকের ইংরেজি নাম Chestnut-tailed Starling। পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম Sturnus malabaricus এদের বিচরণ অপেক্ষাকৃত হালকা বন-বনানীতে। আবার শহরেও দেখতে পাওয়া যায়। তবে ভূমিতে খুব একটা বিচরণ করে না। গ্রামে এখনো দল বেধে উড়তে দেখা যায়। গায়ের বর্ণ অতি উজ্জ্বল না হলেও দেখতে ভালোই লাগে। দল বেঁধে অথবা জোড়ায়-জোড়ায় বিচরণ করে। আমাদের বন জঙ্গল ধ্বংস করার প্রবণতায় এদরকে ঠাঁই দিয়েছে শহরেও। কাঠ শালিক লম্বায় ২০-২৩ সেন্টিমিটার। পিঠ উজ্জ্বল বাদামি ধূসর। বুক গাঢ় লালচে বাদামি। গলা ও পায়ের দু’পাশ ফিকে লাল। লেজের বাইরের পালকগুলো লালচে বাদামি। চোখ সাদা থেকে হালকা নীলাভ, ঠোঁটের গোড়া কালচে নীল, আগা উজ্জ্বল হলুদ। প্রজনন সময় বসন্ত থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত। বর্ষা মৌসুমে গাছের প্রাকৃতিক ফোকর এবং দালানের গোলাকার বা ছোট ভেন্টিলেটরে বাসা বানায়। বাসা বাঁধার আগে পছন্দমতো জায়গা খুঁজে বেড়ায়। বাসা বাঁধতে সময় লাগে ৫-৭ দিন। মেয়ে পাখি ডিম পাড়ে ৩-৫টি। ডিমের রঙ ফিকে নীল। ডিম ফুটে বাচ্চা হতে সময় লাগে ১৫-২১ দিন। কাঠশালিকের অন্যের বাসা দখলের প্রবণতা আছে। এরা চড়ুই, আবাবিল, কাঠঠোকরা, কোটরে পেঁচা, নীলকণ্ঠ ও বসন্তবৌরির বাসা দখল করে নিজের জন্য সাজায়। দখলের সময় প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধও চলে অনেক সময়। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এসব পাখির ভুমিকা অনেক। তাই , আসুন এদের রক্ষায় এগিয়ে আসি। আলোকচিত্রঃ সাজ্জাদুল বারী (সোহান) নির্বাহি সম্পাদক ( জাতীয় সাপ্তাহিক ইনতিজার )

কাঠশালিক
কাঠশালিক