User:ইউসুফ ইবনে রশিদ মোল্লা

From Wikimedia Commons, the free media repository
Jump to navigation Jump to search

জিল্লতি বরদাশত করার চেয়ে মৃত্যু উত্তম!

ইমাম হোসাইন (রাঃ)

বিশ্বসভ্যতা ও মানবেতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ও অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ হচ্ছে পবিত্র আশুরা। সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে বর্তমান ইরাকের অন্তর্গত কারবালা প্রান্তরে ফোরাতের তীরে ৬১ হিজরির ১০ মহররম তারিখে পৈশাচিক, মর্মন্তুদ ও বিয়োগান্ত ঘটনা পর্যন্ত বিশ্ব ইতিহাসের নানা বাঁকে সংঘটিত হয়েছে তাৎপর্যমণ্ডিত অজস্র ঘটনা। প্রতিটি ঘটনায় সমসাময়িক সমাজ-সভ্যতা নতুন নতুন বার্তা পেয়েছে; বুদ্ধিমানরা সেসব ঘটনা থেকে জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা গ্রহণ করেছেন এবং গোটা বিশ্বলোক কোনো না কোনোভাবে একেক ঘটনা থেকে একেক ধরনের পয়গাম নিয়ে সভ্যতার উৎকর্ষ বিধানে কাজে লাগিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সংঘটিত ওইসব ঘটনার কোনোটি হৃদয়বিদারক, কোনোটি চমকপ্রদ আবার কোনোটি বর্বরতা, অমানবিকতা আর নিষ্ঠুরতায় আচ্ছন্ন। তবে মানবেতিহাসে যেসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার অবতারণা হয়েছে, তার সবগুলোর ক্ষেত্রেই জানা-অজানা গভীর তাৎপর্য, অনুপম শিক্ষা আর মহান ঐতিহাসিকতা রয়েছে।

হযরত হোসাইন (রাঃ) অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলেতে গিয়ে সেদিন কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন নিয়ে শাহাদাত বরণ রাসুল (সাঃ) কতৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্হা অক্ষন্ন রাখার জন্য শাহাদাত বরণ করেছেন।

সারা বিশ্বে যে শোষণ, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে তা থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য আপোষহীন ভাবে লড়াই করার কথাই দশই মহররমের ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয়।

কারবালা ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্যায়, অসত্য, শোষণ, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলতে পারি, তাহ‌লেই মহররমের আলোচনা স্বার্থক হবে এবং হযরত হোসাইন (রাঃ) শাহাদাতের প্রতি যথার্থ সম্মান প্রদর্শন করা হবে।

হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্য ন্যায়ের পক্ষে ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার তাহফিক দিন, আমীন!!